অতীতকে জানার আগ্রহ মানুষের সহজাত । মানুষ তার অতীতকে জেনে এগুতে চায়। অতীত ঐতিহ্য মানুষের গর্বের বিষয় । যুগে যুগে মানুষ অতীতের সভ্যতা ও কৃষ্টি জানার আগ্রহ দেখিয়েছে । ইতিহাস যত ক্ষুদ্র হোকনা কেন সে ইতিহাস মানুষের গর্বের । এ ক্ষেতে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার নামকরনের সঠিক কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতিতে আছে, অতীতে এখানে ইসলাম প্রচারে পীরদের আগমন ঘটেছিল । ইসলাম প্রচারে আসা পীর, ওলি, গাউস যাঁদের স্মৃতি নামকরনের মধ্যে লুকিয়ে আছে । জনশ্রুতি কিংবা কিংবদন্তি ইতিহাসের উপকরণ নয়, তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কোন না কোন স্থানের নাম বা তার উৎস খোঁজার জন্য কোন না কোন ভাবে জনশ্রুতির উপর নির্ভর করতে হয়। পীর, ওলি, গাউসরা এখানে দীর্ঘদিন আস্তানা গড়ে ধর্ম প্রচার করেছিলেন। এদের ব্যবহারের জন্য ছিল একটি কুপি বা প্রদীপ রাখার বিশাল গছা (বাঁশ জাতিয়) । সে বাতির আলো দুর থেকে দেখা যেত । অবশেষে পীররা চলে যাওয়ার সময় বাঁশের গছাটি পরিত্যক্ত রেখে যান । জনশ্রুতিতে আছে তখন থেকেই ভক্ত মুরিদরা ওই গছা টিকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে আসত । এ কারণে পীর ও তার গছা থেকে বিবর্তনের ধারায় পীরগাছা নামের উৎপত্তি হয়েছে
পীর, ওলি, গাউসরা এখানে দীর্ঘদিন আস্তানা গড়ে ধর্ম প্রচার করেছিলেন। এদের ব্যবহারের জন্য ছিল একটি কুপি বা প্রদীপ রাখার বিশাল গছা (বাঁশ জাতিয়) । সে বাতির আলো দুর থেকে দেখা যেত । অবশেষে পীররা চলে যাওয়ার সময় বাঁশের গছাটি পরিত্যক্ত রেখে যান । জনশ্রুতিতে আছে তখন থেকেই ভক্ত মুরিদরা ওই গছা টিকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে আসত । এ কারণে পীর ও তার গছা থেকে বিবর্তনের ধারায় পীরগাছা নামের উৎপত্তি হয়েছে । প্রশাসন পীরগাছা থানার সৃষ্টি ১৭৮৩ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রুপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। ৯টি ইউনিয়ন ১৭০টি মৌজা, ১৮৯টি গ্রাম । মোট জন সংখ্যা ৩,২৯,৬৪৪ জন (ডিসেম্বর/০৭ পরিসংখ্যান তথ্য সুত্রে) । উপজেলায় ভূ-প্রকৃতি সমতল । মানাস, আলাইকুড়ি, ঘাঘট, তিস্তা পলল ভূমির অন্তর্গত। মোট জমির পরিমাণ ৪৯ হাজার ৫৩ হেক্টর । আবাদী জমি ২০ হাজার ৬ শত ৩ হেক্টর । প্রধান ফসল ধান, আলূ, ভুট্টা, পাট ও আখ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে রয়েছে রেল ও সড়ক পথ । ২১ কিঃ মিঃ রেল পথে ৩টি স্টেশন, অন্নদানগর, পীরগাছা ও চৌধুরানী । পাকা সড়ক ৮০.৪৮ কিঃ মিঃ। কাঁচা সড়ক ৪৪৯.৮৬ কিঃমিঃ । যোগাযোগের মাধ্যম ট্রেন, বাস, ট্রাক, রিক্সা-ভ্যান ও গরুর গাড়ি। এ উপজেলায় শিক্ষার হার ৪১.২১ % । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় ৩টি, মহাবিদ্যালয় ৬টি ও স্কুল এন্ড কলেজ ১টি, মাদরাসা ৩৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪২টি, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭২টি, বেসরকারি রেজিষ্টার্ড ৭৭টি, সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা ৫টি, আলিম ২টি, দাখিল ৩৪টি, স্বতন্ত্রএবতেদায়ী ৫৬টি রয়েছে । ঐতিহাসিক স্থান সমূহের মধ্যে মন্থনা জমিদার বাড়ি, ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি চন্ডিপুরে মোঘল আমলের মসজিদ, চৌধুরানী বাজারে দেবী চৌধুরানী কর্তৃক খননকৃত দীঘি । রয়েছে শৈল্পনন্দিক শহীদ মিনার, শাপলা চত্বর, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে স্বাধীনতা চত্বর । মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে সন্মুখ যুদ্ধে এ উপজেলার ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছে । এ ছাড়াও এ উপজেলায় রয়েছে নব্দীগজ্ঞ বধ্যভূমি । রয়েছেন বেশ ক’জন কৃর্তিমান ব্যক্তি । যারা রাজনীতি, সাহিত্য ও সাংবাদিকতা পেশায় অমর হয়ে রয়েছেন ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস